যশোর রেল রোড
দড়াটানা থেকে ইজিবাইক অথবা রিক্সা যোগে রেলগেটে যশোর শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমে যাওয়া যায়।
0
যশোর রেলস্টেশনের নিকটবর্তী প্রায় পাঁচ বিঘা জমির উপর এক নির্জন ও শান্ত পরিবেশে যশোর শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমটি অবস্থিত। যশোরের কৃতি সন্তান স্বামী সুধানন্দজী ইংরাজী ১৯৩৬ খৃষ্টাব্দে এটি স্থাপন করেন।স্বামীজীর পিতার নাম কালিদাস মুখার্জী এবং মাতার নাম শ্রীমতি সিদ্ধেশ্বরী দেবী। ১৩০৮ সালের ২৪শে অগ্রহায়ণ নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণপরিবারে এক সুন্দর কান্তিশিশু জন্ম গ্রহণ করে। সংসারত্যাগ করে দীক্ষা নিয়ে একদা স্বামী সুধা নন্দ নাম ধারণ করেন।স্বামী সুধানন্দজী যশোর রেলষ্টেশনের সন্নিকটে“ শ্রীরামকৃষ্ণআশ্রম” প্রতিষ্ঠাকরে এখানে ইসারা জীবন ইষ্ট সাধানায় ব্যাপৃত থাকেন।পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ছেলেরা তাঁর কাছে এলে তিনি আদর করতেন এবং তাদের শিক্ষা দেবার জন্য ১৯৪ ০সালে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় গোড়ে তোলেন।তাঁর মধুর ব্যবহারে আকৃষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যশোর মিউনিসিপ্যালিটির হাতে স্বামীজীর তুলে দেন এবং বর্তমানে বিদ্যালয়টি বিদ্যালয়টি সরকারী রামকৃষ্ণ আশ্রম প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিত।
যশোর শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমের সুদৃশ্য মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের একটি মর্মর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল।যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে ধ্বংস হয়।ঠাকুরঘরের পার্শ্বে যে শিবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত আছে তারা জাবিক্রমাদিত্যের রাজবাড়ীতে পূজিত হোত। ঠাকুরঘরের অপর পার্শ্বে আশ্রামের প্রক্তন সম্পাদক শ্রী অজিত কুমার ঘোষের অর্থে রাধাগোবিন্দ মন্দির প্রতিষ্ঠিত আছে।রাধা-গোবিন্দ মন্দিরের দক্ষিণ পার্শ্বে দুর্গা মন্ডপটি একদাস্বামী তারানন্দ জীরভগ্নিসরোজিনী দেবীর অর্থে নির্মিত হয়েছিল, যা কালের আবর্তনে ভগ্ন প্রায় হলে যশোরের অন্যতম ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক বাবু স্বপন ভট্রাচার্য ও তদীয় পত্নী শ্রী মতিতন্দ্রা ভট্টাচার্যের আর্থিক সহায়তায় সম্প্রতি একটি সুদৃশ্য দুর্গা মন্দির নির্মিত হয়েছে।সন্ন্যাসীদের বিশ্রামের জন্যে পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা টিনের ঘর ও উত্তর-দক্ষিণে লম্বা টালির ঘর ছিল।এখন তা আর সেখানে নেই তবে সেখানে পূর্ব নির্মিত স্বামী সুধানন্দজীর সাধন কুঠি আজও বর্তমান।এর চূড়ায় লেখা সিদ্ধেশ্বরী স্মৃতি মন্দির-১৩৪৮।দরিদ্র ছাত্রদের বাসস্থান সমস্যা শহরে বড় একটি সমস্যা।এই সমস্যা দূরীকরণে শ্রী চিত্তরঞ্জন সাহা মহাশয়, ডাঃ গৌতম সাহা এবং শ্রী সাধন কুমার চন্দ্র তাদের স্বস্ব পিতার নামে একটি বৃহৎ ছাত্রাবাস ১৯৮৬ সালে নির্মাণ করেন। পরবর্তী কালে আশ্রমের স্বীয় তহবিল থেকে ছাত্রাবাসের দ্বিতীয় তলা নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৫ সালে ছাত্রাবাসটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বেলুড় মঠের দ্বাদশ অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী ভূতেষানন্দজী মহারাজ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস